গোলাপগঞ্জ বাঘা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৭:০০,অপরাহ্ন ২৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৫৫৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: উত্তরাধিকার সনদ জালিয়াতি মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদকে কারাগারে পাটিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় আরো ৪ জনকেও কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
রবিবার (২৫ আগস্ট) তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক ফারজানা শাকিলা সমু চৌধুরী তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই মামলায় পারভিন বেগম নামের এক নারী ও দলিল লেখক দুলাল আহমদকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে প্রেরণকৃত অপর ৪ জন হলেন- বাঘা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হেতিমগঞ্জ গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন সোহেল, রুহুল আমিন, মো. আক্তার হোসেন, ইব্রাহিম খলিল।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইংরেজি তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে হেতিমগঞ্জ গ্রামের মৃত আতাউর রহমান মিয়া ঠাকুরের ছেলে হেলাল আহমদ বাদী হয়ে সিআর মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-১৩৪।
মামলায় জামাল উদ্দিন সোহেলকে প্রধান আসামিসহ তার ৩ ভাই, মা পারভিন বেগম ও সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আদালত ৭ জনের নামে সমন জারির নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়- মৃত তবারক আলী ও মৃত সবারক আলী তারা দুই ভাই। কিন্তু তবারক আলী বিয়ে করলেও তার কোন সন্তান ছিলেন না। এদিকে তবারক আলীর ছোট ভাই সবারক আলী ছিলেন ৩ ছেলে যথাক্রমে আতাউর রহমান মিয়া ঠাকুর, আখলাছ মিয়া, মখলিছ মিয়া, ও ৩ মেয় যথাক্রমে লেছু বেগম, রেনু বেগম, বানু বেগম এর জনক।
অপরদিকে তবারক আলীর কোন সন্তান না থাকায় তার দেখবাল করায় তিনি তার জায়গা সম্পত্তি যাহা হাতিম নগর, হেতিমগঞ্জ (গঞ্জ) মৌজার ১৫৭ খতিয়ানের ৩৯৫ নং দাগের মোট ৮ শতক ভূমি ও একই মৌজার ২০৯ খতিয়ানের ৩৯৭ নং দাগের ২০ শতক ভূমি মিলে মোট ২৮ শতক ভূমি ১৮/০৪/১৯৭২ ইংরেজি তারিখে ৫৪৯৮ নং দলিল মূলে দান করেন তার ভাইয়ের ছেলে আতাউর রহমান মিয়া ঠাকুরকে। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন সোহেল গংরা এই ভূমি জালিয়াতি করে তাদের পিতা মৃত মখলিসুর রহমান সবারক আলীর একমাত্র উত্তরাধিকারী দেখিয়ে গত ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে ৪৫৬৭/০৯ নং দলিল মূলে মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, পিতা-নিমার আলী, সাং- নাহার ভিলা, রোড নং-৫ বাড়ি নং-৩ আরামবাগ, এমসি কলেজ রড, সিলেট বরাবর বিক্রি করে দেন।
পরবর্তিতে ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর তারিখে ১ নং বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ওয়ার্ড মেম্বারের স্বাক্ষর ছাড়াই স্মারক নং- ৩৬৫/১২ মাধ্যমে একটি উত্তরাধিকার সনদ গ্রহণ করে তা নামজারী করিয়ে দেন।
কেবল তাই না, তৎকালীন ও বর্তমান উত্তরাধিকার সনদ ঘেঁটে দেখা যায় মৃত মখলিছুর রহমানেরই ৫ ছেলে হলেও আপন ছোট ভাইকে বাদ দিয়ে কারাগারে প্রেরণকৃত ৪ জন ও তাদের মা পারভিন বেগমের নামে উত্তরাধিকার সন্দ গ্রহণ করেন। এমনকি মৃত তবারক আলীকে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মর্মেও উল্লেখ করা হয়।