লাব্বাইক ধ্বনিতে মীনার পথে লাখো হাজী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৬:০৯,অপরাহ্ন ০৮ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪০৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক …লা-শারিকা লাক’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত করে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন লাখো মানুষ। কেউ গাড়িতে; কেউ যাবেন পায়ে হেটে, সবার গন্তব্য মিনা। পবিত্র মক্কা হতে মিনার পথগুলো এখন লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
তাবু নগরী মিনা নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে সৌদি নিরাপত্তা রক্ষীরা। সারা পৃথিবীর ২০ লাখের বেশি মুসলমান বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এর মাধ্যমে সূচনা হবে মুসলমানদের অন্যতম ফরজ ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়; যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে।
হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। দীর্ঘ যানজট এড়াতে অনেকে মিনায় যাবেন পায়ে হেঁটে। অন্যান্য দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিও রওয়ানা হবেন মিনার পথে।
মোয়াল্লেম সূত্র থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এশার নামাজ আদায় করে মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা। ইহরামের কাপড় পরে এবং অন্যান্য জিনিস সঙ্গে নিয়ে মিনায় যাবেন তাঁরা। ছয় দিন পরে অর্থাৎ হাজি হিসেবে ফিরে আসবেন সবাই।
নিয়মমাফিক আগামী শুক্রবার থেকে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০-২২ লাখ হজযাত্রীকে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্ঝঞ্ঝাটে মিনায় পৌঁছানোর স্বার্থে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাদের নেয়া শুরু করবেন মোয়াল্লেমরা।
প্রত্যেক হজযাত্রীকে মিনার তাঁবু নম্বর সংবলিত কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ড সব সময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। মক্কার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হজের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আর্দ্রতা থাকবে ৮৫ শতাংশ। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
হাজিরা ৮ জিলহজ শুক্রবার মিনায় সারাদিন থাকবেন। ৯ জিলহজ শনিবার ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
১০ জিলহজ রোববার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন তাঁরা। মিনায় এসে বড় জামারাকে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন।
তাওয়াফ, সাই শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
মোয়াল্লেম দপ্তর থেকে জানা যায়, মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসা হাজিরা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে।
মিনায় হাজিদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।