হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে শিশু চুরির চেষ্টা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:১১,অপরাহ্ন ০৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৫২ বার পঠিত
উজ্জল রায়, নড়াইল থেকে:: নড়াইল কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশু চুরি করতে ব্যর্থ হয়েছে দুর্বৃৃত্তরা। হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে শিশুকে চেতনাশক ইনজেকশন পুশ করে চুরি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
রবিবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালসহ উপজেলাজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রাজাপুর (বড়নাল) গ্রামের রমিজ মিনের দেড় বছরের শিশু হামিদার গলার ফোড়ার চিকিৎসার জন্য নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডের (৬নম্বর বেডে) ভর্তি করা হয়। শিশুর সঙ্গে তার মা রুনা বেগম একই বেডে রাতে ঘুমিয়েছিলেন। রবিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ভবনের ভিতরের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে অন্ধকার করে ফেলে। এসময় মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে শিশুকে অজ্ঞান করার জন্য ইনজেকজেন দেয়ার প্রস্তুতি কালে দেখে ফেলেন শিশুর মা। তখন সে চিৎকার দিলে ওয়ার্ডে থাকা লোকজন ও হাসপাতালের নার্স-চিকিৎসকরা ছুটে আসেন। এ সুযোগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটার পর থেকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রোগীরা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিশু হামিদার মা রুনা বেগম বলেন, ‘এ ঘটনা সত্য। ঘটনার পর রাতের বাকী সময় একটুও ঘুম হয়নি। ভয়ে সকালে হাসপাতাল ছেড়ে তিনি চলে গেছেন।’ হাসপাতালে ভর্তি মনিমালা, সপ্না বেগম বলেন আমরা চিৎকার শুনে সেখানে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। রাতে আমরা ভয়ে ঘুমাতে পারিনি।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মোন্তাজ মজিদ বলেন, ‘আমি কিছু শুনি নাই। আপনারা স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
কালিয়া থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম জানান, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোন অভিযোগ করেননি।