ডেঙ্গু: বিদেশি ওষুধে ফিল্ড টেস্টে মরেনি, মাঠে কি মরবে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৯:২৬,অপরাহ্ন ০৩ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ১৩০১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মশা নিধন কাজে ব্যবহারে একটি বিদেশি ওষুধের ফিল্ড টেস্ট হয়েছে। তবে ওই ওষুদের খুব একটা কার্যকারিতা পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ডিএসসিসি’র নগর ভবনের বারান্দায় দেখা যায় ওষুধটির ফিল্ড টেস্ট হচ্ছে। এ জন্য ওষুধের নমুনা সংগ্রহ এবং ছোট একটি খাঁচায় ৫০টি মশা রাখা হয়। এরপর মাত্র এক হাত দূর থেকে এর চারপাশে একবার করে ওষুধ ছিটানো হয়। কিন্তু এরপরও খাঁচায় থাকা সব মশা মরেনি। মাত্র ২৪ শতাংশ মশা অচেতন অবস্থায় পড়েছিল।
পরীক্ষায় ১নং নমুনায় ৫০টি মশার মধ্যে ১৩টি, ২নং নমুনায় ১৪টি ও ৩নং নমুনায় ৯টি মশা জ্ঞান হারিয়েছে। ফলে এর শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে-২৬, ২৮ ও ১৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টা পর যদি মৃতের সংখ্যা ৮০ শতাংশ হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে এই ওষুধের মান ঠিক রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য নমুনাটি পাঠানো হবে।
প্রশ্ন, এখানে মশাকে ওষুধ দেওয়ার পর সেগুলো উড়ে যেতে পারছে না। বন্দি অবস্থায় থেকে প্রতিরোধের সুযোগ নেই। মাঠ পর্যায়ে তো এত কাছ থেকে ওষুধ প্রয়োগের সুযোগ নেই। মশা উড়ে চলে যায়। তাছাড়া ওষুধ দেওয়ার পর সেগুলো তাদের নিজের মতো করে উড়ে গিয়ে আলো-বাতাস ও খাবার গ্রহণ করে আবার সুস্থ হওয়ার সুযোগ থাকে। আর এ অবস্থায়ও যদি সবগুলো মশা না মরে তাহলে মাঠ পর্যায়ে মশা কীভাবে মরবে?
এমন প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা।
সিটি করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধে মশা মরে না। এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মধ্যে নতুন এই ওষুধের পরীক্ষা চালানো হলো। ডিএসসিসি সূত্র বলছে, এই ওষুধ বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে।
এ সময় ভারতের কলকাতা থেকে আসা গবেষক দলের সদস্য শুভ দে সাংবাদিকদের বলেন, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, বায়ার করপোরেশনের ওষুধ মশকনিধনে কার্যকর। মশার ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখত হবে।