গ্রামবাসীর ভয়ে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ফেলে দেয় পুলিশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪০:২২,অপরাহ্ন ২০ মে ২০১৯ | সংবাদটি ১১৮১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মাদারীপুর পৌরসভার টিবি ক্লিনিক সড়কে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের পর গ্রামবাসীর ভয়ে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মোক্তার হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ মে) রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রীকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের গর্ভবতী স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগ রোববার রাতে শহরের টিভি ক্লিনিক সড়কের প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন। এ সময় দরজা বন্ধ করে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে করে স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে তিনি ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে আমার পায়ের হার ভেঙে গেছে। এর আগে তিনি আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে তিনি মেয়েটিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লেলিন জানান, মেয়েটির হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে আরও ৩ মাস সময় লাগবে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ের সাথে আমার কিছু হয়নি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আপনি পুলিশ সুপার বা ওসির সাহায্য নেননি কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।