জঙ্গল থেকে কুঁড়ে পাওয়া নবজাতকের আশ্রয় শিশু পল্লীতে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২০:৪০,অপরাহ্ন ২০ এপ্রিল ২০১৯ | সংবাদটি ৩১৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেটের ওসমানী নগরে জঙ্গল থেকে ৭ দিন বয়সী জীবিত এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার তাজপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মজলিশপুর গ্রামের শিক্ষক আরশ আলীর বাড়ির পুকুর পাড়ের জঙ্গল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
পরে শিশুটিকে উপজেলার দয়ামীররস্থ এস ও এস শিশু পল্লীতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মজলিশপুর গ্রামের শিক্ষক আরশ আলীর বাড়ির কেয়ারটেকার মাছ ধরতে বাড়ির পুকুরে যান। এ সময় জঙ্গল থেকে একটি নবজাতক শিশুর কান্না শুনতে পায় কেয়ারটেকার।
বিষয়টি শিক্ষক আরশ আলীকে জানান কেয়ারটেকার। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষক আরশ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান ও থানার ওসি এমএম আল মামুন ঘটনা স্থলে ছুটে যান এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক আরশ আলী থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ওসমানীনগর থানার ওসি অভিভাবক হয়ে লিখিতভাবে দয়ামীরস্থ এস ও এস শিশু পল্লী কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। শিশুটিকে গ্রহণ করেন এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিশু পল্লীর স্পন্সরশীপ অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম খান, এস ও এস মা হালিমা খাতুন, শিক্ষক আরশ আলী ও ইউপি সদস্য হাজী মুহিতুর রহমান মোহন। এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আল মামুন বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে দয়ামীরস্থ এস ও এস শিশু পল্লী কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমি লিখিত আবেদন করি।
এরপর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে শিশুটিকে হস্তান্তর করি। এ নির্মম ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তা জানা যায়নি। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান শিশু উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েই আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং শুক্রবার মধ্যরাতেই উপজেলার দয়ামীরস্থ এস ও এস শিশু পল্লী কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটি ভালো আছে।