গোয়াইনঘাটে সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৯:১৫,অপরাহ্ন ১০ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৪৩১ বার পঠিত
গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা:: সিলেটের গোয়াইনঘাটে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বসত বাড়ি. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-িবেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বসত বাড়িতে পানি উঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন অনেকে।
উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কের উপর দিয়ে কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট এবং সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ডাউকি নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকার কয়েক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে উপজেলা সারী ও ডাউকি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জান মাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে থাকে। সারী, গোয়াইন, ডাউকি ও পিয়াইন নদী দিয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় পাহাড়ি ঢল। এতে করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার (১০জুলাই) পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। উপজেলা সদরের প্রধান তিনটি সড়কসহ তলিয়ে যায় গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। বসত বাড়ি প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকের আউশ ধান, বোনা আমন, আমন ধানের বীজ তলা এবং সবজি ক্ষেতসহ প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ডাউকি, গোয়াইন এবং সারী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবকটি ইউনিয়নের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। বন্যায় জনগণের দূর্ভোগ লাগবে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পানিবন্ধি মানুষজনের জন্য জরুরী ত্রাণ সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারী, গোয়াইন, ডাউকি ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।