ছুটি বাড়ছে আরও ১৪ দিন, স্ব স্ব স্থানে ঈদ উদযাপন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৮:০৯,অপরাহ্ন ১৩ মে ২০২০ | সংবাদটি ৬২০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফের বাড়ছে সাধারণ ছুটি। চলমান ছুটি আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সবাইকে যে যেখানে আছে সেখানেই ঈদ করতে হবে। এসব নির্দেশনা ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে থাকবে।’
তিনি জানান, ‘আগামী ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ঈদের দুই দিন আগে, ঈদের দিন ও ঈদের চার দিন পর- এই সাতদিন এখন প্রাইভেটকারসহ যেসব সাধারণ যানবাহন রাস্তায় রয়েছে, এগুলোর চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে এগুলো চলাচল করতে না পারে।’
সাধারণ ছুটির মধ্যে শবে কদর, ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটিরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এ সময় করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকার। যানবাহনসহ যে কোনো গাড়ি চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ থাকবে।
এদিকে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯। এছাড়া একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৬২ জন। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮২২ জনে।
বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও সাত হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ৯০০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৮টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ১৬২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৯ জন, এটিও সর্বোচ্চ রেকর্ড। মৃত ১৯ জনের ১২ জন পুরুষ ও সাত জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ৩৬১ জন।