চাল আত্মসাতকারী শায়েস্তাগঞ্জের সেই চেয়ারম্যান বরখাস্ত!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৭:৪২,অপরাহ্ন ১২ মে ২০২০ | সংবাদটি ৩৬২ বার পঠিত
হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা:: করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও ভিজিডির (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে শোকজ করা হয়েছে চেয়ারম্যান মুখলিছকে। উপযুক্ত জবাব না দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (১) অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান এখন থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। দশ কার্য দিবসের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে পরবর্তী প্রক্রিয়ায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার পর আত্মগোপনে রয়েছেন চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া। ওই ইউনিয়নে কর্মরত ট্যাগ অফিসার ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জগদীশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তাকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চলে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হোসেন।
জানা গেছে, নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শুক্রবার (৮ মে) অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা। এ সময় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করার জন্য সেখানে দেওয়া ২ হাজার কেজি চালের মধ্যে পাওয়া যায় ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল। যেহেতু ৩০০ কেজি চাল পাওয়া যায়নি, তাই ওই ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করেন তিনি।
এছাড়াও সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বিতরণেও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। গেল জানুয়ারি থেকে চাল বিতরণের কোনো মাস্টার রোলও সেখানে ছিল না।