বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ‘৭৮৬’ জন আক্রান্ত!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১২:২৮,অপরাহ্ন ০৫ মে ২০২০ | সংবাদটি ৩৮৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৯২৯ জনে। এছাড়া এই সময়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৩ জনে।
মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭১১ জনের পরীক্ষা করে ৭৮৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন এক হাজার ৪০৩ জন। এছাড়া মারা গেছেন এক যুবক। তার বয়স ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
নাসিমা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৮ জন। বর্তমানে মোট এক হাজার ৬৯৪ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭০জন। এ পর্যন্ত এক হাজার ২৪৩ জন আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৭৭ জন হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন বলে জানান নাসিমা। এ নিয়ে মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জন হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩২৮৮ জন। এ নিয়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৯ জন ছাড় পেয়েছেন।
এ সময় করোনা শনাক্তদের ৬৮ ভাগ পুরুষ ও ২৮ ভাগ নারী বলে জানান অধ্যাপক নাসিমা। তিনি আরও বলেন, মৃতদের মধ্যে ৭৩ ভাগ পুরুষ ও ২৩ ভাগ নারী।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার ২৪১ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৯ জন। অপরদিকে ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।