এবার করোনা রোগি শনাক্ত করবে কুকুর!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৯:০৫,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৪১৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভাইরাসটি শনাক্তের জন্য প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিটের জন্য হাহাকার চলছে প্রায় সব দেশেই। ফলে সঠিক ভাবে করা যাচ্ছে না এর চিকিৎসা। তবে এর মধ্যেই করোনা সনাক্তের নতুন পদ্ধতির কথা জানালো যুক্তরাজ্য। আর এই পদ্ধতিতে লাগবেনা কোনো টেস্টিং কিট, কারণ এই শনাক্তের কাজ করবে প্রশিক্ষিত কুকুর।
যুক্তরাজ্যের ‘মেডিকেল ডিটেকশন ডগস’ নামের একটি দাতব্য সংস্থা এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রশিক্ষিত এসব কুকুর দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে সাতশটি করোনা টেস্ট করানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিরর জানিয়েছে, লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন (এলএসএইচটিএম), ডারহাম ইউনিভার্সিটি এবং মেডিকেল ডিটেকশন ডগস নামের একটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে কুকুরের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তের সম্ভাবনাটি অনুসন্ধান করছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্য নিতে চান।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সব অসুখ ও ভাইরাসের নিজস্ব কিছু গন্ধ থাকে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরের কিছু নমুনার গন্ধ প্রথমে শুঁকতে দিতে হবে কুকুরদের। তারপর তাদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
এর আগে ম্যালেরিয়া, ক্যানসার, পার্কিনসন্স ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীদের গায়ের গন্ধ শুঁকে বা তাদের শরীর থেকে নেয়া কোনো নমুনার গন্ধ শুঁকে অসুখ চিহ্নিত করেছে লন্ডনের ওই সংগঠনের প্রশিক্ষিত কুকুরেরা। কুকুরের এই ঘ্রাণশক্তির সাহায্যে অসুখের গন্ধ বিচারের বিষয়টিও তাই এবার করোনার সংকটে কাজে লাগাতে চায় ব্রিটেন।
লন্ডনের মেডিকেল ডিটেকশন ডগস সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ক্লেয়ার গেস্টের কথায়, ‘প্রশিক্ষণ দিলে কুকুর কভিড-১৯ ভাইরাস চিহ্নিত করতে পারবে। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তবে কীভাবে সংক্রামিত রোগীর কাছ থেকে ভাইরাস সংগ্রহ করে আমরা নিরাপদে তা কুকুরের সামনে তুলে ধরব, এখন সেটাই দেখার।’
‘আমাদের লক্ষ্য কুকুরকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া যাতে তারা করোনা রোগীর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় থাকা রোগীদেরকেও চিহ্নিত করতে পারে।’
সংগঠনের কর্মকর্তাদের দাবি, কুকুরদের করোনার গন্ধ বিচারের জন্য আগামী ছ’সপ্তাহ বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হবে। তারপরই মহামারির আকার নেয়া এই অসুখকে প্রতিহত করতে তাদের কাজে লাগানো শুরু হবে।