দিল্লিতে মুসলমানদের উপর হামলায় উত্তাল সিলেটের রাজপথ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৫:১৯,অপরাহ্ন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৭৭৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দিল্লিতে নাগরিক আইনের অজুহাতে মুসলমানদের উপর হামলা, মসজিদে আগুন ও মুসলমানদের ঘরবাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারাবিশ্বের ন্যায় উত্তাল সিলেটের রাজপথ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা সিলেট নগরীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে রাজৈনিত ও সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি তৌহিদী জনতার উদ্যোগেও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
জুমার নামাজের পরপর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সুরমা পয়েন্ট হয়ে কোর্ট পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সভা শেষে হয়।
কুদরত উল্লাহ মসজিদের সামন থেকে সিলেট ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে এক বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি জিন্দাবাজার ঘুরে সিটি পয়েন্টে এসে পথসভা শেষে সমাপ্ত হয়।
জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদরাসা থেকে প্রিন্সিপাল হাবীব প্রজন্মের উদ্যোগে এক বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশ করে পুণরায় মাদরাসায় গিয়ে সমাপ্ত হয়।
সোবহানীঘাট থেকে তালামিযে ইসলামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিছিল কোর্ট পয়েন্ট হয়ে চৌহাট্টার দিকে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া, নগরীর বিভিন্ন মসজিদ থেকেও সাধারণ মুসল্লিরা মিছিল বের করেন।
মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সকল প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গৌর গবিন্দের নির্যাতন থেকে বুরহানুদ্দিনকে বাঁচাতে শুধুর ইয়েমেন থেকে হযরত শাহজালাল রহ. সিপাহ সালার নিয়ে সিলেটে যেভাবে আগমন করেছিলেন। ভারত মুসলমান নির্যাতন বন্ধ না করলে ঠিক তেমনিভাবে বাংলার মুসলমানরাও মুসলমানদের রক্ষা করতে প্রয়োজনে লংমার্চ করে দিল্লি গিয়ে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। মুসলমানদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙার আগে দিল্লিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহবান জানান বক্তােরা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুসলিম রাষ্ট্রের স্থপতি। তিনি আমাদের মুসলমানদের অহংকার। কয়েকদিন পর শেখ মুজিবের শত জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে। এ জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মুসলমানদের চির শত্রু নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হলে মুসলমানরা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। মোদিকে প্রতিহত করতে প্রয়োজনে দেশে রক্তের গঙ্গা বইবে। এজন্য মুসলমানদের সেন্টিমেন্টের প্রতি বাংলাদেশ সরকারকে দৃষ্টি দেয়ারও আহবান জানান বক্তারা।
এদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহবানে জুমার নামায শেষে দেশব্যাপী মসজিদে মসজিদে দিল্লির মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাতের পূর্বে মুসলমান হত্যা, মসজিদে আগুন ও মুসলমানদের ঘর বাড়ি ভাঙচুরকারী সন্ত্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান খতিব ও ইমামগণ।
তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মুসলমান হত্যাকারী মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্যও সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।