বড়লেখায় সন্তানের সামনে মা’কে হত্যা করলো পিতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৭:৫৭,অপরাহ্ন ১০ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৩৭২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রকাশ্য দিবালোকে সন্তানের সামনে মা’কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করলো পাষণ্ড পিতা। নিহত গৃহবধুর নাম পান্না বেগম (৩০)। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মতছিন আলী পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কলারতলিপার গ্রামের মাখই মিয়ার ছেলে মতছিন আলীর সাথে বিয়ানীবাজার উপজেলার পাড়িয়াবহর গ্রামের ইসমাইল আলীর মেয়ে পান্না বেগমের বিয়ে হয়। পরিবারের তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় ৪ মাস আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি পাড়িয়াবহরে চলে যান পান্না বেগম। ওই সময় বড় মেয়ে সুহানাকে (৭) শ্বশুর বাড়ির লোকজন রেখে দেয়।
এদিকে সম্প্রতি সুহানা নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইটাউরী গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়ে সুহানার অসুস্থতার খবর পেয়ে পেয়ে পান্না বেগম তাকে দেখতে ইটাউরীতে আসেন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে সুহানাকে স্থানীয় এক হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় দৌলতপুর এলাকার একটি মসজিদের পাশের রাস্তায় পান্নার স্বামী মতছিন তাকে বাধা দেন। একপর্যায়ে মতছিন পান্নাকে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করেন। এরপর মতছিন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত পান্না বেগমকে উদ্ধার করে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে পান্নার মৃত্যু হয়।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে পান্নাকে তার স্বামী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পান্নার শরীরের কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী মতছিন আলী পলাতক। আমরা আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঘাতককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।