সৌদি সরকারের নতুন আইনে ক্ষতির আশঙ্কায় বাংলাদেশিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২১:১৭,অপরাহ্ন ১৪ অক্টোবর ২০১৬ | সংবাদটি ৭০৬ বার পঠিত
সৌদি আরবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে স্থানীয় নাগরিকদের কোটা পূরণের বাধ্যবাধকতার আইন কার্যকর হলে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে মন্দা দেখা দেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশও।
বিদেশে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। সরকারি হিসাবে প্রায় ১৩ লাখ বৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক চাকরি করছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। এর বাইরে রয়েছে ভিসার মেয়াদ শেষেও দেশে না ফেরা শ্রমিকরা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ না থাকলে এই সংখ্যাটি আরও বড় হতে পারতো। তবে গত বছর দেশটির সঙ্গে সরকারের চুক্তির পর জনশক্তি রপ্তানি আবার শুরুর অপেক্ষায় আগ্রহীরা। এই পরিস্থিতিতে সৌদি সরকারের নতুন আইন নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্বের অবসান ঘটাতে সৌদি আরবের রাজকীয় সরকার নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আওতায় চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলছে ‘নিতাকাত’ আইন।
নিতাকাত শব্দের অর্থ ‘সৌদিকরণ’। এ আইন অনুসারে সৌদি আরবের বিভিন্ন বেসরকারি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোতে বিদেশি শ্রমিকদের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে সৌদি নাগরিকদেরও কাজের সুযোগ দিতে হবে।
সৌদিতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশি শ্রমিক নির্ভর। দেশটির নাগরিকদের এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনের জন্য অনীহা রয়েছে। তবে সরকার স্থানীয়দের নূন্যতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বেকার যুবকদের চাকরির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সৌদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি শ্রমিক ছাটাই করা হতে পারে। এর প্রভাব বাংলাদেশিদের ওপরও পড়ে কি না সে নিয়ে আশঙ্কায় করছেন প্রবাসীরা।
২০১০ সালে প্রথম নিতাকাত কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি সরকার। তবে এখন পাস হওয়া নতুন আইনে কয়েকটা নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে ৬০ বছর বা ততোর্ধ্ব বয়সী প্রবাসীরা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক পাবেন। অর্থাৎ কোনো কর্মীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হলে তাকে দুই জন ধরে গণনা করা হবে।
আইনটি প্রয়োগ হলে সার্বিকভাবে প্রবাসীদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে যাবে। সম্প্রতি টেলিকম সেক্টর থেকে প্রবাসী কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বাংলাদেশিদের।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হওয়া শ্রমবাজার ইস্যু করা ভিসা কেনাবেচা বন্ধ করতে কঠোর ভূমিকা নিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি আইনে কেউ ভিসা-বাণিজ্য করলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড জরিমানাসহ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নিয়েও আছে উদ্বেগ। সূত্র: ঢাকাটাইমস