বিএনপি জিও পলিটিক্সের শিকার : ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৬:৫৭,অপরাহ্ন ১০ অক্টোবর ২০১৬ | সংবাদটি ৭৪০ বার পঠিত
বিএনপি ‘জিও পলিটিক্স’ এর শিকার- উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন পর্যন্ত সেই ধরনের জা্তীয় ঐক্য গড়ে ওঠেনি।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে না যাওয়া। ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল। এরশাদ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচনে যায়নি। কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব হয়নি। সেই সারাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, যদি না আমরা ভূ-রাজনীতি অর্থাৎ জিও পলিটিক্সের শিকার না হতাম।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর–রুনি মিলনায়তনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাদের কাছে দেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিত তা অকল্পনীয়। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী প্রতিবাদ করি। আমরা যা চাই তা বলতে চাই। এখন কিন্তু সেই ব্যবস্থা নেই। এখন যারা শাসন ক্ষমতায় আছেন তারা কিন্তু একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালনা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, শেখ হাসিনাকে এদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ পছন্দ করে না। আমরা বারবার বলছি চিৎকার করে বলছি, সে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু একটি বিস্ময়ের ব্যাপার পৃথিবীতে যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, যারা গণতন্ত্রে চ্যাম্পিয়ন তার কিন্তু তাকে খুব একটা অপছন্দ করছেন না। যে দেশটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ যারা গণতন্ত্রের পতাকা উঁচু করে তুলে ধরেছেন তারাও কিন্তু তাকে সমর্থন দিয়ে চলছেন। এ বিষয়গুলো বুঝতে হবে।’
জেহাদের হত্যা সমগ্র বাংলাদেশকে এক করে ফিলে ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য দরকার। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কোনো বিজয় অর্জন সম্ভব হয়নি যতক্ষণ না একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাস। সেই ঐক্য আমাদের সৃষ্টি করতে হবে।’
ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিবাদ কাউকে ছাড়ে না। তাই সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
এসময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ছোট মতভেদ ভুলে ঐক্য তৈরি করতে হবে। তারপর জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ।
এদিকে সকালে দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতারা।