গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ওয়াসফিয়া নাজরীন
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৬:২৪,অপরাহ্ন ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ১১৬৯ বার পঠিত
গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টসহ সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ আরোহী বাংলাদেশের একমাত্র নারী ওয়াসফিয়া। তিনি গ্রামীণফোনের সাথে সামাজিক ক্ষমতায়নে কাজ করবেন।
গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পর ওয়াসফিয়া বলেন, ‘গ্রামীণফোন সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং তাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গ্রামীণফোন মানুষকে বহুদূর যেতে ও তাদের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে অনুপ্রাণিত করছে। আমার বহুদূরের যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। আমার যেমন একটি লক্ষ্য রয়েছে, তেমনি ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রামীণফোনেরও লক্ষ্য রয়েছে উৎকর্ষে পৌঁছানোর।’
বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী ওয়াসফিয়া গ্রামীণফোনকে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই মনে করেন না। তিনি মনে করেন, শুরু থেকেই গ্রামীণফোন সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণফোন নির্দিষ্ট গণ্ডি থেকে বেরিয়ে সব বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষকে উৎসাহিত করতে বছরজুড়ে অনলাইন স্কুল, সাধারণ মানুষের শিক্ষার জন্য সহজে ইন্টারনেটে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়ন বিষয়ক অন্যান্য উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে।
এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে গ্রামীণফোনের নানা উদ্যোগের সাথে যুক্ত করে তাদের সফলতার পথে নেতৃত্ব দিতে চান।
২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং এই সময়ে সকল ক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রাকে সম্মান জানাতে ওয়াসফিয়া তার মহাকাব্যিক অভিযাত্রা শুরু করেন। ২০১৫-তে তিনি প্রথম ও একমাত্র বাঙালি হিসেবে সেভেন সামিট জয়ের দুর্লভ রেকর্ড করেন এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তোলেন।
শিক্ষাজীবন থেকেই ওয়াসফিয়া মানবাধিকার, উন্নয়ন, গবেষণা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে জড়িত। নারীর ক্ষমতায়নে অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করার জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ২০১৪ সালে ওয়াসফিয়াকে বর্ষসেরা অভিযাত্রী ঘোষণা দিয়ে সম্মানিত করে। আবার ২০১৬ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাকে এমার্জিং এক্সপ্লোরার খেতাব দেয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে তিনি একইসাথে অভিযাত্রী ও এক্সপ্লোরার খেতাবধারী। ওয়াসফিয়া গ্রামীণফোনকে সাথে নিয়ে তার সাফল্য যাত্রা অব্যহত রাখবেন।
উল্লেখ্য, টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৫৬ মিলিয়নেরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সারির টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন, যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘চলো বহুদূর’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। www.grameenphone.com:www.facebook.com/grameenphone।