পাঠ প্রতিক্রিয়া শতাব্দীর মিলিত প্রাণে : ফিরে দেখা এম সি একাডেমী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৪:২৬,অপরাহ্ন ১৬ আগস্ট ২০১৭ | সংবাদটি ২৫৬০ বার পঠিত
ইসহাক কাজল :
শতাব্দীর মিলিত প্রাণে : ফিরে দেখা এম সি একাডেমী
প্রধান সম্পাদক: ফারুক আহমদ
সম্পাদক: মিসবাহ মাসুম
প্রকাশকাল: ৯ জুলাই ২০১৭ইং
প্রচ্ছদ: এস এম সামাদ
অলংকারণ: এম আর আলম (নান্টু)
গত ৯ জুলাই ২০১৭ইং নর্থ লন্ডনে, বাঙালি মালিকানাধীন ‘আরিয়ানা ব্যাঙকোয়েটিং হল-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট এম সি একাডেমীর প্রাক্তর ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা বা পুনর্মিলনী। এই উদ্যোগের একাবারে গোড়া থেকে জড়িত ছিলেন বন্ধু বাংলা একাডেমি প্রবাসী লেখক পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ফারুক আহমদ। একেবারে প্রথম অনুষ্ঠিত সভাটিতে তিনি সভাপতিত্বও করেন। তার পরের কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন এবং যে কমিটির উদ্যোগে এই ম্যাগাজিন ও অনুষ্ঠান হলো সেটির অন্যতম সমন্বয়কারীও।
আমি সাধারণত পারতপক্ষে এলাকাভিত্তিক কোনো সংঘ-সমিতির কোনো ধরনের কর্মকা-ে জড়িত হতে যাই না। কেউ দাওয়াত দিলে উপস্থিত হবার চেষ্টা করি। কারণ, এতে যে ভাবে নেতৃত্ব নিয়ে টানাটানি হয়, তা শুধু হাস্যকরই নয় রীতিমত লজ্জাকরও। এছাড়া ইংল্যান্ডে গড়া ওঠা বিভিন্ন আঞ্চলিক সমিতিগুলোরতে প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক একটি পদ থাকে। যারা এই পদে নির্বাচিত হয়ে আসেন এদের অনেকেই ভালোভাবে বাংলা লিখতেও পারেন না। অথচ দুঃখের বিষয় যে, এই সকল সংঘ বা সংস্থা থেকে কোনো ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হলে সম্পাদক হিসেবে তার নামটিই যায়। অর্থাৎ কাজ করেন একজন আর নাম ভাগায় আরেকজন! সেজন্য ফারুক আহমদকেও এই সকল কাজে কোনো দায়িত্ব বা নেতৃত্ব না নেবার জন্য পরামর্শ দিই। গোলাপগঞ্জ হেলপিং হ্যান্ডস (ইউকে)-এর জন্মলগ্ন থেকে অর্থাৎ যখন এটি গঠিত হয় তখনকার বিভিন্ন সভায় আমিও ফারুক আহমদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখেছি এটি সংবিধান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তৈরি করতে তিনি কিভাবে সময় দিয়েছেন। এমনকী এটির প্রথম স্মরণিকাটি প্রকাশ করতে তিনি ও আনোয়ার শাহজাহান যে কী ধরণের পরিশ্রম করেছেন তাও আমি নিজে দেখেছি। কিন্তু পরে কর্মকর্তাদের নেতৃত্বের টানাটানি, কার নাম কোথায় যাবে এসকল কারণে যখন সময়মতো ম্যাগাজিনটি প্রকাশ হল না, তখন দেখলাম সকল দোষ এরা তারই ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন!
গত বছর থেকে এম সি একাডেমীর অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনীর সঙ্গে যখন ফারুক আহমদকে জড়ানোর চেষ্টা চলে তখন থেকে আমি তাকে এগুলোতে জড়িত না হবার পরামর্শ দিই। কিন্তু তিনি এলাকাবাসীর দাবি উপেক্ষা করতে পারেননি। তার পরিণামও এ বছর আমরা কমবেশি সকলেই ফেইস বুকের কল্যাণে দেখেছি। এবারও সকল সুনামের দাবিদার অনেকেই কিন্তু পুরো দুর্ণাম তার ওপর দিয়েই গেছে বলে অন্তত আমার মনে হয়েছে। আবার ফারুক আহমদবিহীন একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি অনুষ্ঠানও আমরা দেখেছি। দেখেছি গোলাপগঞ্জ হেলপিং হ্যান্ডস-এর আরেকটি ম্যাগাজিনও। আমার এ কথাগুলো বন্ধুর গুণকীর্তন নয়, বাস্তবতা। তাই তার সম্পর্কে বেশি কিছু না বলে শুধু একটুৃই বলবো, তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি পারেন।
ফারুক আহমদ আমাকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একটি রিপোর্ট তৈরিরও অনুরোধ করেছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার পরেও বন্ধুর অনুরোধ রক্ষা করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শরীর হঠাৎ করে বিদ্রোহ করে বসায় আমার আর যাওয়া হয়নি। তবে তা ফেইস বুকের মাধ্যমে অনুষ্ঠান দেখার স্বাদ অনেকটা পুষিয়ে নিয়েছি বলা যায়। যদিও সুন্দর, ছিমছাম এ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উপছেপড়া ভিড় দেখে মনে হয়েছে অনেক দিন পর দেখার মতো একটি অনুষ্ঠান মিস করেছি। আমি না গেলেও আমার পত্রিকা, সাপ্তাহিক জনমত-এর প্রধান সম্পাদক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, নির্বাহী সম্পাদক গল্পকার সাঈম চৌধুরী প্রমুখ সপরিবারে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন। সাপ্তাহিক জনমত এ অনুষ্ঠান নিয়ে প্রায় অর্ধেক পৃষ্ঠাব্যাপী এ অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট করেছে। শুনেছি সাপ্তাহিক দেশ-এর সম্পাদক তাইসির মাহমুদসহ আরো অনেক সাংবাদিক সপরিবারে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন। সাপ্তাহিক পত্রিকা এক পৃষ্ঠার কাভারেজ দিয়েছে। লন্ডনের অন্যান্য পত্রিকাতো বটে অনলাইন পত্রিকা এবং টেলিভিষনগুলোও এ অনুষ্ঠান নিয়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে খবর পরিবেশন করেছে। এ ধরণের অনুষ্ঠান ইতিপূর্বে এভাবে গুরুত্ব দিয়ে খুব কমই প্রচারিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সবচে আকর্ষণ ছিল পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ও প্রমাণ্যচিত্র। ম্যাজিনটি পড়ে মনে হয়েছে প্রামাণ্যচিত্রটি ফারুক আহমদের প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে। সেজন্য রায়হান চৌধুরী ঋণ্র স্বীকার করেছেন। তিনি তার এ কাজের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। উদার মনের দক্ষ কারিগর হায়হান চৌধুরী এই চমৎকার প্রমাণ্যচিত্রটি নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে আছে। এ কিস্তিতে শুধু ম্যাগাজিন নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। প্রথমত ম্যাগাজিনের নামটি, ‘শতাব্দীর মিলিত প্রাণে : ফিরে দেখা এম সি একাডেমী’ একটি চমৎকার নাম বলেই মনে হয়েছে। হ্যাঁ, এ ম্যাগাজিনটি হাতে নিলেই এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীটকে জানা হয়ে যায়। এটির সূচিপত্র সাজানোর কলাটিও চমৎকার। প্রথমে সম্পাদকীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক। এর শিরোনাম হচ্ছে ‘আমরা কিংবদন্তির কথা বলছি না । অথচ আমরা কোনো কিছু লিখতে গেলে সাধারণত যে শব্দটি ব্যবহার করি তা হচ্ছে, ‘কিংবদন্তী’ এই আছে, সেই আছে। এই শিরোনামটি অবশ্যই একটি ব্যতিক্রম। এ সম্পাদকীয়টি পড়লেই গোলাপগঞ্জ উপজেলা এবং বিশেষ করে বিলাতবাসী গোলাপগঞ্জের অধিবাসী এবং তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা হয়ে যায়। এর প্রত্যেকটি লাইনই এক একটি ইতিহাস। তার পরে আছে, ‘গোলাপগঞ্জে ইংরেজিশিক্ষার গোড়ার কথা এবং প্রাচীনতম বিদ্যাপীট এম সি একাডেমী’ শিরোনামে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি তথ্যসূত্রসহ এম সি একাডেমী প্রতিষ্ঠার পুরো সচিত্র ইতিহাস। আমি নিজে দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের সাংবাদিকতা ও লেখালেখির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। শুধু পেশাগত কারণেই নয়, গোলাপগঞ্জের সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্কও রয়েছে। গোলাপগঞ্জে কবি মাহমুদ হক, মুক্তিযোদ্ধা ইয়ামিন চৌধুরীসহ আমার অসংখ্য বন্ধুবান্ধব রয়েছেন। আমার অহংকার ছিল আমি গোলাপগঞ্জ সম্পর্কে, এম সি একাডেমি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। কিন্তু এ লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে গোলাপগঞ্জ ও এম সি একাডেমীকে আমি নতুন করে জানলাম। আমি জানতাম স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ চৌধুরী কিন্তু জানতাম না এটির মূল প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আলীম চৌধুরী। আমি আব্দুল হামিদ চৌধুরী সোনা মিয়ার নাম শুনেছি। কিন্তু জানতাম না, তিনি আব্দুল আলীম চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র এবং তারই প্রস্তাবে আসাম পার্লামেন্টে সুরমা নদীর ওপর কিন ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। আমি জানতাম না শমছি খানম তারই সুযোগ্য কন্যা। এর আগে আমি আব্দুল হামিদ চৌধুরী সোনা মিয়া, মোহাম্মদ চৌধুরী কিংবা স্যার মাইকেল কিনের ছবিও কোনোদিন দেখিনি। এম সি একাডেমী থেকে, ‘হিরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক পুনর্মিলনী, ৯৫’ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থে যা নেই তাও অর্থাৎ প্রথম কে প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তার পরে কে এগুলোর পাশাপাশি ১৯০৫ ও ১৯১২ সালে প্রকাশিত আসাম ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার-এর প্রমাণসহ দেখিয়েছেন এই বিদ্যালয়টি আগের নাম কী ছিল, কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং কখন বর্তমান স্থানে এসে এম সি একাডেমি নাম ধারন করে। যা পড়লে রীতিমত শিহরণ লাগে। তারপর রয়েছে ‘স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে দশটি লেখা। এতে স্মৃতিচারণ করেছেন Ñনূরুননেছা চৌধুরী জন্নতী, মিনহাজ চৌধুরী, মিসবাহ মাসুম, মুবিন আহমদ জায়গীরদার, মুহিবুর রহমান (মুহিব), মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন, রওশন জাহান, লিয়াকত হোসেন, শফিকুর রহমান চৌধুরী, শ্রী নিবাস চন্দ্র নাথ (নিবাস)। স্কুলের সবচে দীর্ঘস্থায়ী খ্যাতিমান শিক্ষক ছিলেন জনাব মছরুছুল করিম চৌধুরী। প্রায় প্রত্যেক লেখকের লেখায় তার কথা থাকলেও, ‘প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্মৃতিচারণ’ শিরোনামে, মানুষগড়ার এই কারিগরকে নিয়ে আলাদাভাবে স্মৃতিচারণ করেছেন Ñএমদাদুর রহমান, মাহফুজ আহমদ চৌধুরী ও রায়হান চৌধুরী। এমদাদুর রহমান পেশায় শিক্ষক। সেজন্য তার লেখায় ভিন্নমাত্রা আছে। তিনি প্রধান শিক্ষককে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন তার প্রশংসা না করে পারা যায় না। ইংরেজিতে স্মৃতিচারণ করেছেন ড. হুমায়ের এ চৌধুরী। স্কুলকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন সিলেটের খ্যাতিমান চিকিৎসাবিদ অধ্যাপক ওয়াজির আহমদ চৌধুরী এবং উবেদুল হক শিপন। কবিতাগুলোও চমৎকার। মোটকথা, আমি প্রত্যেকটি লেখা পড়েছি এবং প্রতিটি লেখাই যেমন সুখপাঠ্য ও উপভোগ্য। যা সচরাচর এ ধরণের ম্যাগাজিনে পাওয়া যায় না।
তারপরে আছে, ‘এক নজরে এম সি একাডেমী’। এতে প্রথম থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহোদয়গণে নামের তালিকা, কলেজ শাখা বাস্তবায়ন কমিটি, আজীবন দাতাগণের তালিকা, কলেজ শাখা বাস্তবায়নে ভূমিদাতা শিক্ষানুরাগীদের তালিকা, কলেজ শাখার অধ্যক্ষ মহোদয়গণের নাম, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে যারা জাতীয়ভাবে খ্যাতিমান, এম সি একাডেমী ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনী, লন্ডন ২০১৭’ উদযাপন কমিটি এবং উপ-কমিটিগুলো এবং সব শেষে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের আলোকচিত্র। লেখাগুলো চমৎকার ও নির্ভুলভাবে ছাপানো। প্রত্যেকটি লেখায় লেখকদের স্বকীয়তা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে এম সি একাডেমী কতজন আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জেনারেল, আইনজ্ঞ, রাজনীতিবিদ জন্ম দিল সে বিবেচনায় না গিয়ে বলা যায় এ ম্যাগাজিনটিই বলে দিচ্ছে যে, এম সি একাডেমী অনেক ভালো লেখকের জন্ম দিয়েছে। প্রত্যেকটি লেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছবি যোগ করা হয়েছে। এতে একজন পাঠক শুধু লেখাই পড়বেন না, লেখার সঙ্গে ছবিগুলো চলচ্চিত্রের মতো পাঠককে একেবারে গোলাপগঞ্জের মাটিতে নিয়ে যাবে। পাঠক শুধু পড়বেন না, তার মনে হবে তিনিও লেখার পথ ধরে এম সি একাডেমীর ইতিহাসের পথ ধরে, গোলাপগঞ্জের পথ ধরে হাঁটছেন।
এনটিভির একটি অনুষ্ঠানে এই ম্যাগাজিনটি সম্পর্কে এটির সম্পদক মিসবাহ মাসুম একটি মন্তব্য করেছিলেন যে, তারা ম্যাগাজিনটিকে এমনভাবে সাজাচ্ছেন, এটি শুধু ছাত্রছাত্রীদের কাজেই আসবে না, বরং ভবিষ্যতে যারা গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করবেন তাদের জন্য রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে। কথাটি শুনে অনেকটা বাহারী বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু ম্যাগাজিন পড়ে মনে হল সম্পাদকের কথার মধ্যে কোনো খাঁদ ছিল না, আসলেই তিনি খাটি কথাটিই বলেছেন। ম্যাগাজিনটির চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী এস এম সামাদ অংলকারণ করেছেন; এম আর আলম। এটির প্রধান সম্পাদক ফারুক আহমদ এবং সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিসবা মাসুম। সহযোগিদের মধ্যে ছিলেন Ñশামীম আহমদ শামীম, হারুনুর রশীদ মুজিব, মুমিনুল হক চৌধুরী, জাহেদ আহমদ ও আফসারুল ইসলাম চৌধুরী পান্নু এবং মুদ্রিত হয়েছে খ্যাতিমান মুদ্রণ সংস্থা ফেইথ প্রিন্টিং থেকে। চমৎকার প্রচ্ছদের দৃষ্টিনন্দন এ ম্যাগাজিনটি যে বহুদিন পর্যন্ত গোলাপগঞ্জের মানুষতো বটে, গোলাপগঞ্জ এবং এম সি একাডেমী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং লেখক-গবেষকদের সংগ্রহে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। একইসঙ্গে ম্যাগাজিন গোলাপগঞ্জের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।