বহরগ্রাম-শিকপুর ফেরী চালুর দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন: ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৮:২৪,অপরাহ্ন ১১ জুন ২০১৭ | সংবাদটি ১৮৬৯ বার পঠিত
গোলাপগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর উপর দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা বহরগ্রাম-শিকপুর ফেরী চালুর দাবীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে স্থানীয় কুশিয়ারা নদীর পাশে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে অবিলম্বে ফেরী চলাচল করার দাবী জানান বক্তারা। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফেরী চালু করতে সওজ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলেও কিছু কর্মকর্তার উদাসীনতার কারনে তা চালু করা হচ্ছেনা। দুর্নীতির মাধ্যমে তারা গোপরে লীজের জন্য ডাক দেয়, কেউ ই সে ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা বলছে এ ফেরী দিয়ে গাড়ী চলাচল আগ থেকে কমে যাওয়ায় লীজ নিতে কেউ আগ্রহী হচ্ছেনা। বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন একটি কুচক্রী মহল এখান থেকে ফেরী তুলে আছিরগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। এ কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়েছে। ঈদের পূর্বে ফেরী চালু করা না হলে ঈদের পরপরই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ারও ঘোষণা দেন বক্তারা।
জনমঙ্গল সমিতির সভাপতি এবাদুর রহমান এবাদ’র সভাপতিত্বে এবং যুব সংগঠক জুনেদ খান ও নাছির উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বুধবারীবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম আছকির, রাজনীতিবিদ মস্তাকুর রহমান, প্রবীণ শিক্ষক বিলাল উদ্দিন, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুল মুকিত, যুব সংগঠক এস ইউ শিপলু।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার আব্দুল খালিক, সংগঠক মিছবাহ উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, আব্দুল লতিফ, সহির উদ্দিন, শামছুদ্দিন, নুরুল হুদা, আব্দুল কুদ্দুছ, কয়েছ আহমদ, মনজুর আহমদ, একলিম মিয়া, শাহনুর আহমদ, সৌরভ আহমদ, সজিব আহমদ, সুবেল আহমদ, রাজন আহমদ, মিলন আহমদসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকার সর্বস্তরের জনতা।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে বহরগ্রাম-শিকপুর ফেরী চলাচল করলেও ২০১৬ সালে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও যান্ত্রীক ক্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সওজ কর্তৃপক্ষ যান্ত্রীক ক্রুটি সমাধান করে আবার চালু করার উদ্যোগ নিলে কিছু স্বার্থান্বেশী মহল এখান থেকে ফেরী সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। স্বার্থান্বেশী মহলের যোগসাজসে সওজ’র কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ফেরী চালু করতে গড়িমিশি করছে এমন অভিযোগ ও গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ আশপাশ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের সুবিধার্থে গাড়ী চলাচলের জন্য এ ফেরী দ্রুত চালু করার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।