লন্ডন ইস্ট একাডেমীর সাফল্য অব্যাহত : এ বছর হাফিজ হলেন ৭ শিক্ষার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৬:২৯,অপরাহ্ন ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৭৭৮ বার পঠিত
লন্ডন ইস্ট একাডেমির (এলইএ) ৭ মেধাবী শিক্ষার্থী এ বছর পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছেন। এ নিয়ে গত ১৩ বছরে এলইএ থেকে অর্ধশতাধিক ছাত্র হাফিজ হলেন। প্রতিবারের মতো এ বছরও পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্নকারী ছাত্রদের সম্মানে আয়োজন করা হয় গ্রাজুয়েশন সিরিমনি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন ইস্ট একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ আসকর আলীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতীব শায়খ আব্দুল কাইয়ূম, মসজিদের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারি আইয়ূব খান, স্কুলের গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল হাই মুর্শেদ, নির্বাহী পরিচালক দেলওয়ার খান ও মসজিদের পেট্রন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইকবাল খান।
আইয়ূব খান বলেন, সন্তানের ভালো লেখাপড়ার জন্য অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন। অভিভাবকদের চেষ্টা না থাকলে শুধু শিক্ষকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অফস্টেড রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্কুলের আরো মানোন্নয়নের চেষ্টা করছি। নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয় হয়েছে। গভর্নিং বডিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামীতে আরো বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসবে।
আমরা স্কুলটিকে একটি মডেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে চাই। তিনি অভিভাবকদেরকে তাঁদের প্রতিবেশীর ছেলেদের আল-মিজান স্কুল ও এলইএতে ভর্তি হতে উদ্ধুদ্ধ করার আহবান জানান। শায়খ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সন্তানের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। যে সকল সন্তানের অভিভাবক সচেতন তদেরই পড়ালেখা ভালো হয়। তিনি অনুষ্ঠানে মোনাজাত করেন।
ইকবাল খান ৭ হাফিজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতি বছর হিফজ গ্রাজুয়েট সিরিমনীতে তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহিত করে থাকে। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মুখে ৭ হাফিজ পবিত্র কুরআন থেকে অত্যন্ত সুললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত করেন। তাদেরকে শিক্ষানুরাগী ইকবাল খানের সৌজন্যে ৭টি আইপ্যাড উপহার দেওয়া হয়।