রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির সংলাপের সফলতা নিয়ে কাদেরের সংশয়
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০১:৫৪,অপরাহ্ন ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ | সংবাদটি ৬২৪ বার পঠিত
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিএনপির সংলাপের সফলতা নিয়ে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির সংলাপের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ‘সালিশ মানি তালগাছটা আমার’ এই নীতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর গুলিস্থানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউছারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে সংলাপের জন্য। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি যদি গণভবনে যেত তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই, তিনি বিএনপিকে ডেকেছেন নির্বাচনী সংলাপের জন্য।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে রবিবার বঙ্গভবনে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপতি ২০ ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর যথাক্রমে বিকাল তিনটা ও সাড়ে চারটায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং ২২ ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাষ্ট্রপতির সাথে বিএনপির সংলাপের ‘অভিজ্ঞতা’ সুখকর নয় জানিয়ে কাদের বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যখন তাদের ডেকেছিলেন তখন তারা গিয়েছিলেন, তখন তাদের মনমত হয়নি। কিন্ত বিএনপি যদি মনে করে ‘সালিশ মানি তালগাছটা আমার’ তাহলে সংলাপ সফল হবে না।
কাদের বলেন, তাদেরকে বাস্তবসম্মত মনোভাব নিয়ে থাকতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে মনে হয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের অভিভাবক, তিনি অনেক উদার প্রকৃতির মানুষ। তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি গণতন্ত্র চায়? তারা যখন বিরোধী দলে ছিল তখন পরিসংখ্যানই তা বলে দেবে। জাতীয় সংসদে ১৬৯ দিন সক্রিয় থাকলেও বিএনপি এসেছিল ৪৫ দিন, আর বেগম জিয়া এসেছিলেন পাঁচ দিন।